এছাড়া এই তিনদিন নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত অব্যাহত রয়েছে। এতে করে জেলার ডিমলা ও জলঢাকা উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের প্রায় ১০ হাজার মানুষ বন্যাকবলিত হয়ে পড়েছেন।
নীলফামারীর ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানায়, শুক্রবার রাতে তিস্তা নদীর পানি তিস্তা ব্যারেজ পয়েন্টে বিপদসীমার ২৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। শনিবার সকালে ৪ সেন্টিমিটার কমে ২৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। শনিবার রাতে আবারও পানি বৃদ্ধি পেয়ে ৩৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। রবিবার সকাল ৯টা থেকে তিস্তা নদীর পানি আবারও কমে ১৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। পূর্বাভাস সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানায় গত তিনদিন ধরে তিস্তার পানি এভাবে উঠা-নামা করছে।
পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ডিমলা উপজেলার তিস্তা নদী সংলগ্ন ৫টি ও জলঢাকা উপজেলার ৩টি ইউনিয়নের প্রায় ১০ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছেন ওইসব ইউনিয়নের চেয়ারম্যানরা।
৮টি ইউনিয়নে আমনের বীজতলা ও রোপিত আমন চারা পানির নিচে তলিয়ে গেছে। অসংখ্য পুকুরের মাছ ভেসে গেছে ।
পানি উন্নয়ন বোর্ড নীলফামারীর ডালিয়া ডিভিশনের নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম জানান, পরিস্থিতি সামাল দিতে তিস্তা ব্যারেজের ৪৪টি জলকপাট খুলে রাখা হয়েছে। পরিস্থিত খারাপ হলে লাল সংকেত ঘোষণা করা হবে বলে তিনি জানান।
ডিমলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জয়শ্রী রানী রায় বলেন, 'পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে আমরা সার্বক্ষণিক বন্যা কবলিত এলাকাগুলো মনিটরিং করছি।'